সুনামগঞ্জ , সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ , ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে সুনামগঞ্জের ইমা হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহক হয়রানি, বছরের পর বছর ঘুরেও মিলছে না বীমার টাকা পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ সেনা নিহত টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় কাজ করবে সরকার: মহাপরিচালক শহরে সক্রিয় মাদক কারবারিরা চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অ্যাড. নুরুল ইসলামকে ফতেপুর বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন আধিপত্য নিয়ে লড়াইয়ের অবসান চান গ্রামবাসী কাজ না করেই তিন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সুনামগঞ্জকে শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আলোচনায় বিএনপি’র দুই হেভিওয়েট প্রার্থী কৃষকরা বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছেন : অতিরিক্ত কৃষি সচিব নদী ভাঙন রোধের দাবিতে ভাদেরটেক গ্রামবাসীর মানববন্ধন গ্যাসের পাইপ লাইনে লিকেজ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা জামালগঞ্জে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা অ্যাড. নূরুল ইসলামের গণসংযোগ ভক্তি আর সম্প্রীতিতে মুখরিত রথযাত্রা চাঁদা না দেয়ায় দুই ভাইকে ছুরিকাঘাত : একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক মাছ বাজারে প্রতারণার ফাঁদে ক্রেতারা

টাঙ্গুয়ার হাওরে অযত্নে মরছে বন বিভাগের বৃক্ষ

  • আপলোড সময় : ১২-০৩-২০২৫ ১০:০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৩-২০২৫ ১০:০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গুয়ার হাওরে অযত্নে মরছে বন বিভাগের বৃক্ষ
বিশেষ প্রতিনিধি :: টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন গোলাবাড়ি কান্দায় বনবিভাগ কর্তৃক ২৫ হেক্টর ভূমিতে লাগানো বৃক্ষ মারা যাচ্ছে। ভুল সময়ে ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে বৃক্ষ লাগানো এবং পরিচর্যার অভাবে অযতেœ বৃক্ষগুলো মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা টাঙ্গুয়ার কান্দায় লাগানো বৃক্ষের পরিচর্যার দাবি জানিয়েছেন। সুনামগঞ্জ বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মাস খানেক আগে জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন ভূমিতে টাঙ্গুয়ার হাওরের কান্দায় হিজল-করচের ৪০ হাজার বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। বন বিভাগের রাজস্ব খাতের বরাদ্দ থেকে এই বৃক্ষ রোপণ করা হয়। উল্লেখ্য ২ বছর আগে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে একই হাওরের ইকইড়দাইড় কান্দায় বন বিভাগ জলবায়ু তহবিলের টাকায় বৃক্ষ লাগিয়েছিল। সেই বৃক্ষও মারা গেছে। এবারও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, হাওরের জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও বর্ষায় ঢেউয়ের আঘাত থেকে গ্রামগুলোকে রক্ষার উদ্দেশ্যে এই বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বন বিভাগ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে টাঙ্গুয়ার হাওরের গোলাবাড়ি ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন কান্দায় গিয়ে দেখা যায়, কয়েক হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে কান্দা সংলগ্ন শুকনো মাটিতে। এই স্থান বর্ষায় পানিতে ডুবে থাকে। বৃক্ষ রোপণের পর চারদিকে বাঁশ দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। কাছে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর চারা মারা যাচ্ছে। তীব্র রোদের কারণে শুকিয়ে গেছে রোপণ করা চারা। রোপণের পর গাছের গোড়ায় পানি না দেওয়া ও পরিচর্যা না করায় মারা যাচ্ছে রোপণ করা বেশিরভাগ বৃক্ষ চারা। এতে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। জয়পুর গ্রামের কৃষক নাজিম উদ্দিন বলেন, এখানে উঁচু জাগা। মাটি শুকাইয়া গেছেগা। লেছুমারা কান্দায় গাছ লাগাইলে ভেজা মাটি আছিল। গাছ আশি ভাগ বাঁচতো। ই গাছ অর্ধেকও বাঁচতো না। একই গ্রামের আলমগীর আলম বলেন, এখন গরমের সিজন। চারদিক টনটনা শুকনা। গাছের গুরিত পানি দিলে গাছ বাচতোনা। না অইলে মারা যাইবো। জয়পুর গ্রামের পরিবেশ কর্মী আহমদ কবীর বলেন, ওয়াচ টাওয়ার এলাকায় কয়েক হাজার চারা লাগানো হয়েছে। এটা হাওরের জন্য ভালো। কিন্তু ভুল পদ্ধতিতে বৃক্ষ রোপণ করায় এবং রোপণ পরবর্তী পরিচর্যা না করায় বৃক্ষগুলো মারা যাচ্ছে। সুনামগঞ্জ বনবিভাগের ডেপুটি রেঞ্জার সাদ উদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন ২৫ একর ভূমিতে আমরা রাজস্ব বাজেট থেকে অল্প বরাদ্দে ৪০ হাজার বৃক্ষ লাগাচ্ছি। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে। বৃক্ষ রোপণের মওসুম না হলেও মাটি ভেজা আছে। আমাদের একজন প্রতিনিধি সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। তবে স্থানীয়দের গরু-বাছুর বেষ্টনি দেওয়া এলাকায় ঢুকে গাছের চারা নষ্ট করছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স